Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ নভেম্বর ২০১৪

বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৪ উদযাপন


প্রকাশন তারিখ : 2014-10-30
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১৬ অক্টোবর বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বসহকারে পালিত হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৪। এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য-Family Farming: Feeding the World, caring for the Earth- বাংলায় ‘পারিবারিক কৃষি: প্রকৃতির সুরক্ষা, সবার জন্য খাদ্য’। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও দেশের জেলা উপজেলা পর্যায়েও বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
জাতীয় কার্যক্রমের আওতায় ঢাকায় সকাল ৯ টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ফার্মটেস্থ বিএআরসি চত্বরে ১৬-১৮ অক্টোবর তিনদিনব্যাপী খাদ্যমেলা এবং সকাল ১০টায় বিএআরসি অডিটরিয়ামে ‘পরিবর্তনশীল পরিবেশে পারিবারিক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্যমেলা ও সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক, বীজ উইং জনাব আনোয়ার ফারুক। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জনাব মো. ছায়েদুল হক এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, এমপি এবং এফএও বাংলাদেশ প্রতিনিধি জনাব মাইক রবসন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বন্যা খরা এসব প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বর্তমান সরকার খাদ্য উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এসব প্রচেষ্টার ফলে আমাদের  খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চাল রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দানাদার খাদ্য শস্যের পাশাপাশি মাছ, ডিম, মাংস উৎপাদনে সরকার উদ্যোগী ভূমিকা পালন করছে। কৃষিমন্ত্রী কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, উন্নত পদ্ধতি পারিবারিক বীজ সংরক্ষণ, জিএমও বীজ উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এফএও’র পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, প্রতি বছর সারাবিশ্বে ৮৫ কোটি লোক বুভুক্ষু থাকে। মাছ, মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা নিরসনে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভাপতির বক্তব্যে কৃষি সচিব বলেন, আবহমানকাল থেকে পারিবারিক কৃষিকাজ চলে আসছে। খোরপোশ কৃষি ব্যবস্থা থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা ও সঠিক উদ্যোগের কারণে দেশে কৃষি উৎপাদন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদনের এ ধারাকে টেকসই করতে কৃষিসচিব সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মানিত অতিথি কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, এমপি এবং এফএও বাংলাদেশ প্রতিনিধি জনাব মাইক রবসন।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজ্ঞানী, গণমাধ্যমকর্মী, কৃষক প্রমুখ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার, মাসিক কৃষিকথার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার প্রকাশনা ও বিতরণ, মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য দিবস সম্পর্কে গ্রাহকদের অবহিতকরণ।